ঢাকা ০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস Logo রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে পড়ল কার্গো উড়োজাহাজ, নিহত ২ Logo হাসপাতালে সংস্কার উদ্যোগে সহযাত্রী সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের অগ্রগতি Logo দশমিনায় পুকুরে পরে শিশু নিহত Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল

পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালাল প্রবাসীর স্ত্রী

News Editor
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৫৯ বার পড়া হয়েছে

তিন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালালো এক প্রবাসীর স্ত্রী। পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রবাসীর স্ত্রী টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড়-চোপড় নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে।

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: এক ছাত্রাবাসেই সংঘর্ষ-দখল-আগুন-গণধর্ষণ

আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, সরই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ার বাসিন্দা বজল আহম্মদ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। তার নামে সরই বাজারে ২টি দোকানের প্লট রয়েছে। একটি দোকান ভাড়া নেয় সরই ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মাবুদের ছেলে কামরুল ইসলাম। বজল আহম্মদের স্ত্রী রাজু বেগম স্বামী দেশে না থাকায় দোকানের ভাড়া আদায় করতো। নিয়মিত দোকানে যাতায়াত করতে গিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া কামরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুইজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বজল আহম্মদ ও রাজু বেগমের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। অপরদিকে কামরুল ইসলাম বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।

গত ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী রাজু বেগম ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে বলে বাড়িতে বড় ছেলে শাহাব উদ্দিন ও মেয়ে সানজিদা আক্তার সাইমাকে ফেলে ছোট সন্তান সায়েদকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিক কামরুল ইসলামের সঙ্গে পালিয়ে যায়। লোকলজ্জার ভয়ে নীরবে সন্তান ও স্বজনরা রাজু বেগমকে খুঁজতে থাকে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক কামরুল ইসলামকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না ও দোকান বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমাধান করার কথা বলায় ও খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় আদালতে মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে জানায় শাহাব উদ্দিন।

শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, বাবার ঋণ পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো ৬ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় সঙ্গে নিয়ে মা পালিয়েছে। বিষয়টি বড় চাচা রফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি মায়ের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে দুই ভাই-বোন বড় চাচা রফিকুল ইসলাম ও ছোট চাচা আব্দুল আজিজের হেফাজতে আছি। বাবা বিদেশে অনেক টেনশনে আছে।

প্রবাসীর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই ৬ বছর প্রবাসে থেকে অর্জিত টাকা ও সম্পদ নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে রাজু বেগম। বড় ২টি সন্তানের কান্না থামাতে পারছি না। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ছোট সন্তানটি কি অবস্থায় আছে জানি না। সন্তান ফেলে চলে যায় এ কেমন মা?

পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালাল প্রবাসীর স্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

তিন সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালালো এক প্রবাসীর স্ত্রী। পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রবাসীর স্ত্রী টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড়-চোপড় নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে।

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

এমসি কলেজে গণধর্ষণ: এক ছাত্রাবাসেই সংঘর্ষ-দখল-আগুন-গণধর্ষণ

আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, সরই ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ার বাসিন্দা বজল আহম্মদ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। তার নামে সরই বাজারে ২টি দোকানের প্লট রয়েছে। একটি দোকান ভাড়া নেয় সরই ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মাবুদের ছেলে কামরুল ইসলাম। বজল আহম্মদের স্ত্রী রাজু বেগম স্বামী দেশে না থাকায় দোকানের ভাড়া আদায় করতো। নিয়মিত দোকানে যাতায়াত করতে গিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া কামরুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুইজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বজল আহম্মদ ও রাজু বেগমের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। অপরদিকে কামরুল ইসলাম বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।

গত ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী রাজু বেগম ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে বলে বাড়িতে বড় ছেলে শাহাব উদ্দিন ও মেয়ে সানজিদা আক্তার সাইমাকে ফেলে ছোট সন্তান সায়েদকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিক কামরুল ইসলামের সঙ্গে পালিয়ে যায়। লোকলজ্জার ভয়ে নীরবে সন্তান ও স্বজনরা রাজু বেগমকে খুঁজতে থাকে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক কামরুল ইসলামকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না ও দোকান বন্ধ রয়েছে।

বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমাধান করার কথা বলায় ও খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় আদালতে মামলা করতে বিলম্ব হয় বলে জানায় শাহাব উদ্দিন।

শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, বাবার ঋণ পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো ৬ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় সঙ্গে নিয়ে মা পালিয়েছে। বিষয়টি বড় চাচা রফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি মায়ের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে দুই ভাই-বোন বড় চাচা রফিকুল ইসলাম ও ছোট চাচা আব্দুল আজিজের হেফাজতে আছি। বাবা বিদেশে অনেক টেনশনে আছে।

প্রবাসীর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই ৬ বছর প্রবাসে থেকে অর্জিত টাকা ও সম্পদ নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে রাজু বেগম। বড় ২টি সন্তানের কান্না থামাতে পারছি না। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ছোট সন্তানটি কি অবস্থায় আছে জানি না। সন্তান ফেলে চলে যায় এ কেমন মা?