ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো। Logo ঈশ্বরগঞ্জে হাত ধোয়ার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতামূলক র‍্যালি ও প্রদর্শনী Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট Logo শাপলা না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ময়মনসিংহে এনসিপির সারজিস আলম Logo অধ্যক্ষসহ ৫৫ জনের ভুয়া সনদ! বনপাড়া আদর্শ কলেজে নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান Logo পানছড়ির জিয়ানগরে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন অনুষ্টিত

কাশ্মীরে নয়াদিল্লির দখলদারিত্বের অবসান ঘটলে তবেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ১১০৯ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে আবারও একই কথা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, প্রতেবেশী ভারতের সঙ্গে তখনই ইসলামাবাদ আলোচনায় বসবে, যখন ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে নয়াদিল্লির সামরিক দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে এবং নিজেদের অধিকার ফিরে পাবেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা।

১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন হওয়ার দুই মাস পর (অক্টোবরে) কাশ্মীরের এক অংশে প্রবেশ করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার সেই দিনটি উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর নিয়ে এসব কথা বলেন।

ইমরান খান বলেন, তিনি ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে চান কিন্তু তার আগে ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল কাশ্মীর থেকে ভারতীয় দখলদারিত্বের অবসান ঘটতে হবে। কাশ্মীর উপতক্যার পুরোটাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের দখলে রয়েছে কাশ্মীরের দুই অংশ।

বিতর্কের মুখে ভারতের ফেসবুক পলিসি হেড আঁখির পদত্যাগ

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত কিন্তু এর জন্য যেভাবে কাশ্মীরকে সামরিকভাবে দখল করে রেখেছেন তার অবসান ঘটানো প্রয়োজন। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিষয়টি হলো জাতিসংঘ প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাশ্মীরের মানুষের স্বাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে আপনাদের।’

কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমানা বিভাজনকারী রেখা হলো লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি। ২০০৩ সাল থেকে সেখানে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি রয়েছে। কিন্তু নিয়মিতই লাইন অব কন্ট্রোলে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। দুই পক্ষের হামলা আর পাল্টা হামলায় অগণিত মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছেই।

গত বছরের আগস্টে মোদি সরকার ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে দিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। সংবিধান কর্তৃক এই বিশেষ মর্যাদার কারণে কিছুটা হলেও স্বায়ত্তশাসন পেত কাশ্মীর। কিন্তু তা বাতিল করে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন জারি করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ গোটা কাশ্মীর।

শুধু বিশেষ মর্যাদা বাতিল নয় সেখানে ভারতীয়দের জমি কেনার অধিকারও দেয়া হয়। আর বিশেষ মর্যাদা রদের আগে থেকে সেখানে মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার সেনা। বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকায়িত অঞ্চলের একটি হলো হিমালয়ের কোলঘেঁসে থাকা কাশ্মীর। সেখানকার অনেকে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামও করছে।

কাশ্মীরে নয়াদিল্লির দখলদারিত্বের অবসান ঘটলে তবেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা

আপডেট সময় : ০৯:০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

ভারতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে আবারও একই কথা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, প্রতেবেশী ভারতের সঙ্গে তখনই ইসলামাবাদ আলোচনায় বসবে, যখন ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে নয়াদিল্লির সামরিক দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে এবং নিজেদের অধিকার ফিরে পাবেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা।

১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন হওয়ার দুই মাস পর (অক্টোবরে) কাশ্মীরের এক অংশে প্রবেশ করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। মঙ্গলবার সেই দিনটি উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত ভিডিও বার্তায় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর নিয়ে এসব কথা বলেন।

ইমরান খান বলেন, তিনি ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে চান কিন্তু তার আগে ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল কাশ্মীর থেকে ভারতীয় দখলদারিত্বের অবসান ঘটতে হবে। কাশ্মীর উপতক্যার পুরোটাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের দখলে রয়েছে কাশ্মীরের দুই অংশ।

বিতর্কের মুখে ভারতের ফেসবুক পলিসি হেড আঁখির পদত্যাগ

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি আলোচনার জন্য প্রস্তুত কিন্তু এর জন্য যেভাবে কাশ্মীরকে সামরিকভাবে দখল করে রেখেছেন তার অবসান ঘটানো প্রয়োজন। এ ছাড়া দ্বিতীয় বিষয়টি হলো জাতিসংঘ প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাশ্মীরের মানুষের স্বাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে আপনাদের।’

কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমানা বিভাজনকারী রেখা হলো লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি। ২০০৩ সাল থেকে সেখানে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি রয়েছে। কিন্তু নিয়মিতই লাইন অব কন্ট্রোলে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে। দুই পক্ষের হামলা আর পাল্টা হামলায় অগণিত মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছেই।

গত বছরের আগস্টে মোদি সরকার ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে দিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। সংবিধান কর্তৃক এই বিশেষ মর্যাদার কারণে কিছুটা হলেও স্বায়ত্তশাসন পেত কাশ্মীর। কিন্তু তা বাতিল করে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসন জারি করা হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ গোটা কাশ্মীর।

শুধু বিশেষ মর্যাদা বাতিল নয় সেখানে ভারতীয়দের জমি কেনার অধিকারও দেয়া হয়। আর বিশেষ মর্যাদা রদের আগে থেকে সেখানে মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার সেনা। বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকায়িত অঞ্চলের একটি হলো হিমালয়ের কোলঘেঁসে থাকা কাশ্মীর। সেখানকার অনেকে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামও করছে।