মোঃ আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিষখালি নদীতে মা ইলিশ শিকার করতে ইতোমধ্যে মধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছে অসাধু মৌসুমি জেলেরা। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, আসছে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও আহরণ, বাজারজাতকরণ এর ওপর সরকারি ভাবে নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ উপজেলায় তালিকা ভূক্ত মোট ১১৪৫ জন জেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে ২১৮ জনকে সরকারের সুবিধাভূগির আওতায় আনা হয়েছে। তবে অবরোধকে ঘিরে তাদের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা বিতরণ করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, অবরোধকে সামনে রেখে উপজেলার মঠবাড়ি ও বড়ইয়া ইউনিয়নে মৌসুমি জেলেরা তাদের কর্মস্থল থেকে ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় ফিরে অঅসছে। তারা প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকারে স্বল্প মূলে নৌকা জাল ক্রয় করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রত্যেকে প্রস্তুত রেখেছে ৪ থেকে ৫ টি করে ইলিশের জাল । সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য জানাগেছে। তবে গত বছর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদারের কঠোর পদক্ষেপ জাটকা নিধন রক্ষা ও জেলেদের কারাদন্ডাদেশ দেয়ার কারনে স্থানীয় জেলেদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। প্রতি বছর বড়ইয়ার পালট এলাকা সহ সব গুলো পয়েন্টের দালাল চক্র জেলেদের ইলিশ মাছ আহরণসহ ক্রয়-বিক্রয় করতে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। যা থেকে তাদের একটি উপরি উপার্জন হয়ে থাকে।
এদিকে মৌসুমি জেলেরা রয়েছে শক্ত অবস্থানে যে কোন মূলে তারা ইলিশ মাছ শিকার করবে বলে বদ্ধ পরিকর। আবার কিছু অসাধু স্থানীয় জেলেরাও মৌসুমি জেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে মা ইলিশ শিকার করবে বলে সকল রকম সরঞ্জাম প্রস্তুত করছে। প্রশাসনকে পাহারা দেয়ার জন্য প্রস্তত করা হয়েছে এলাকা ভিত্তিক টিম। যারা সারাক্ষন প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে সবাইকে শতর্ক করবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অঃদাঃ) মোঃ আবুল বাসার জানান, এবারের অবরোধ সফল করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে জেলে, মটরসাইকেল চালক, সাধারন জনতা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে একাধিক সভা করা হয়েছে। সবাই প্রশাসনকে সহযোগীতা করবে বলে আসস্ত করেছেন। মা ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও নিধনের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদার বলেন, অবরোধকে সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। সকলের সহযোগীতা পেলে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকার রোধ করা সম্ভব হবে।