ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

সহকর্মীকে হত্যা মামলায় চিকিৎসক গ্রেফতার

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৯০ বার পড়া হয়েছে

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার (গাইনি) ডা. সুলতানা পারভীন হত্যা মামলায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (গাইনি) ডাক্তার শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (১০ অক্টোবর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

গত ১৬ আগস্ট মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক ভবনের বাসায় নিজ কক্ষ থেকে ডা. সুলতানা পারভীনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের পর ২২ আগস্ট তার বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডা. সুলতানা পারভীনদের বাড়ি রাজশাহী জেলা সদরের পোস্ট অফিস গলি এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট ডাক্তার সুলাতানা পারভীনের মরদেহ উদ্ধারের পর তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে মেলান্দহ থানা পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (গাইনি) ডাক্তার শাহাদাত হোসেনের সাথে ডাক্তার সুলতানা পারভীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। ডা. শাহাদাত হোসেন ৩ সন্তানের জনক। তিনি জামালপুর শহরের শহীদ হারুণ সড়কের অবসরপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারী মো. ফজলুল হকের ছেলে। কর্মস্থল ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হলেও ডা. শাহাদাত হোসেন বেশির ভাগ সময় জামালপুরে অবস্থান করে ব্যক্তিগত চেম্বারে এবং শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকের চেম্বারে রোগী দেখেন।

ডা. সুলাতানা পারভীনের ফোন নম্বরের কললিস্ট থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে কথোপকথন ও খুদে বার্তা আদান-প্রদানসহ বেশকিছু প্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। এর ভিত্তিতেই গত শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের সহায়তায় জামালপুর শহরের শহীদ হারুন সড়কে নিজ বাসা থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনকে আটক করে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

বিএনপিকে নিজেদের দল গোছানোর পরামর্শ দিলেন তথ্যমন্ত্রী

থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক কোনো জবাব না পাওয়ায় ডা. শাহাদাত হোসেনকে ডা. সুলাতানা পারভীনের বাবার দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।

ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো পাইনি।

এদিকে রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে এ প্রসঙ্গে জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, ডা. সুলতানা পারভীনের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো থানায় যায়নি। তবে শুনেছি যে মরদেহের কিছু নমুনার ভিসেরা পরীক্ষা জন্য ময়মনসিংহ ও ঢাকায় তিনটি ল্যাবে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ভিসেরা প্রতিবেদন এখনো আসেনি। ভিসেরা প্রতিবেদন এলে পরেই ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

সহকর্মীকে হত্যা মামলায় চিকিৎসক গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার (গাইনি) ডা. সুলতানা পারভীন হত্যা মামলায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (গাইনি) ডাক্তার শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

শুক্রবার (৯ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (১০ অক্টোবর) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

গত ১৬ আগস্ট মেলান্দহ উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক ভবনের বাসায় নিজ কক্ষ থেকে ডা. সুলতানা পারভীনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের পর ২২ আগস্ট তার বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত পরিদর্শক মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ডা. সুলতানা পারভীনদের বাড়ি রাজশাহী জেলা সদরের পোস্ট অফিস গলি এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট ডাক্তার সুলাতানা পারভীনের মরদেহ উদ্ধারের পর তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে মেলান্দহ থানা পুলিশ। তদন্তের একপর্যায়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (গাইনি) ডাক্তার শাহাদাত হোসেনের সাথে ডাক্তার সুলতানা পারভীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। ডা. শাহাদাত হোসেন ৩ সন্তানের জনক। তিনি জামালপুর শহরের শহীদ হারুণ সড়কের অবসরপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মচারী মো. ফজলুল হকের ছেলে। কর্মস্থল ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল হলেও ডা. শাহাদাত হোসেন বেশির ভাগ সময় জামালপুরে অবস্থান করে ব্যক্তিগত চেম্বারে এবং শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকের চেম্বারে রোগী দেখেন।

ডা. সুলাতানা পারভীনের ফোন নম্বরের কললিস্ট থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে কথোপকথন ও খুদে বার্তা আদান-প্রদানসহ বেশকিছু প্রমাণ সংগ্রহ করে পুলিশ। এর ভিত্তিতেই গত শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের সহায়তায় জামালপুর শহরের শহীদ হারুন সড়কে নিজ বাসা থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনকে আটক করে মেলান্দহ থানা পুলিশ।

বিএনপিকে নিজেদের দল গোছানোর পরামর্শ দিলেন তথ্যমন্ত্রী

থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক কোনো জবাব না পাওয়ায় ডা. শাহাদাত হোসেনকে ডা. সুলাতানা পারভীনের বাবার দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।

ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো পাইনি।

এদিকে রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে এ প্রসঙ্গে জামালপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার বলেন, ডা. সুলতানা পারভীনের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এখনো থানায় যায়নি। তবে শুনেছি যে মরদেহের কিছু নমুনার ভিসেরা পরীক্ষা জন্য ময়মনসিংহ ও ঢাকায় তিনটি ল্যাবে পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ভিসেরা প্রতিবেদন এখনো আসেনি। ভিসেরা প্রতিবেদন এলে পরেই ডাক্তার সুলতানা পারভীনের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।