মোঃ আহসান হাবীব, সাভার প্রতিনিধি ঢাকাঃ সোমবার ৮ মার্চ, আশুলিয়া খেজুর বাগান মসজিদ রোড এলাকা থেকে ভেসে আসছে গাজার গন্ধ। ভেতরের সব গাছ কেটে ফেলেছে পুলিশ। কয়েকটি স্থানে গাঁজার গাছ রয়েছে । এলাকাবাসী কিছুই জানতেন না। তবে পুলিশ আসার পর তারা জানতে পারে যে বাংলো বাড়ির গাঁজা চাষ হয় আমেরিকান ফুল নামে অখ্যায়ীত গাঁজা চাষ হয়। শাহজাহান মোল্লা বলেন, এই এলাকায় সোহেল সাহেবের বাংলো বাড়ি রয়েছে। তার কয়েকটি কারখানাও রয়েছে। আমি শুনেছি এই বাগানে আমেরিকান ফুল চাষ হয়। এ ফুল দিয়ে নাকি তারা তেল তৈরি করে বিদেশে রফতানি করে। পরে পুলিশ আসার পর শুনি সোহেল সাহেব গাঁজা গাছের বাগান করে।সেখানকার এক নারী বলেন, আমরা বাগানের পাশের বাড়িতেই থাকি। মাঝে মাঝে দুর্গন্ধ বের হয়। তখন আমরা মনে করি ফুল গাছে মনে হয় কীটনাশক ছিটিয়েছে। আমাদের বাড়ির পাশেই গাঁজার বাগান কখন চিন্তা করি নাই । মনে করি গাঁদা ফুলের গাছ। আমরা ছাদে উঠলে সবই দেখি। বাগানের সব গাছ কেটে ফেলায় এখন ভালো লাগছে। এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমরা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাগানের চারপাশ এবং সব সময় নজর দেই। এখানকার কেয়ারটেকার আমাদের বলেছেন প্রায় সব গাছ তিন থেকে চারটি গাছ থেকে কলম করে রোপণ করা হয়েছিল।সোহেল খান বলেন, আসলে এগুলো গাঁজা না। তবে গাঁজার মত এক প্রকার ফুলের জাত। এসব গাছ থেকে তেল উৎপাদন করে আমরা বিদেশে রফতানি করি। আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এমদাদ হোসেন বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা খবর পাই আশুলিয়ার খেজুরবাগান মোল্লা বাড়ি গলিতে সোহেল হোসেনের জমিতে গাঁজার বাগান আছে। তারপর অভিযান করি। তবে বাগানের মালিক সোহেল খান বলেছে এগুলো গাঁজার গাছ নয়। তাই কয়েকটি গাছসহ সিআইডির ল্যাবে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে বাগানটি পুলিশের জিম্মি তে রাখা হয়। প্রাথমিকভাবে সোহেল ও তার ছেলেকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আশুলিয়া থানার পুলিশ অপর উপপরিদর্শক সুদীপ কুমার বলেন, আজ সিআইডিতে পাঠানো কয়েকটি গাছসহ সিআইডির রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্ট ভিত্তি তে বাগানের যেসকল গাছ চাষ করা হয়েছে সেগুলো গাঁজার গাছ। সন্ধ্যায় গাঁজার গাছগুলো কেটে আনা হয়। ছয় সাত শতাধিক গাছ ছিল বাগানে।তবে তিন মাস আগে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। সোহেল হোসেন নামে ওই ব্যবসায়ী জমি কেনাবেচা, বাড়ি তৈরি ও কেনাবেচার কাজ করতেন। এছাড়া তার শিল্প প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। মোট কথা সোহেল খান একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।