অনলাইন ডেস্ক:চট্টগ্রামে গৃহবধূ সুপ্তি মল্লিক হত্যার সাড়ে তিন মাস পর এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। যাকে ওই গৃহবধূর প্রেমিক দাবি করেছেন তারা। শুক্রবার ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাকির হোসাইন লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চর আফজাল গ্রামের মো. বাহার উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই থানার চন্দ্রঘোনা এলাকায় থাকেন।
পিবিআই জানিয়েছে, বিয়ের আগে সুপ্তি মল্লিকের সঙ্গে জাকিরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে যোগাযোগ অক্ষুণ্ন ছিল। এর জের ধরে সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর স্বামী ও ভাসুর কর্মস্থলে চলে গেলে জাকির তার বাসায় আসে। দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সুপ্তিকে হত্যা করে পালিয়ে যায় জাকির।
ওইদিন নগরের ডবলমুরিং থানার পানওয়ালাপাড়ার নাসিমা মঞ্জিলের বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুপ্তি মল্লিকের বাবা সাধন কুমার মল্লিকের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী বাসু দেব ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে। বাসু দেব একটি ফার্মেসিতে চাকরি করতেন। অনুপম সেলুনে।
জাকিরকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে ২০১৪ সালে সুপ্তি মল্লিকের সঙ্গে জাকিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৮ সালে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। তিন-চার মাস সংসার করার পর দুইজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গত বছরের ১৪ আগস্ট বাসুদেবের সঙ্গে সুপ্তির বিয়ে হয়। এরপর বাসু দেবের সঙ্গে চট্টগ্রামে চলে আসে সুপ্তি। বিয়ের পরও জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সুপ্তির। গত ৪ নভেম্বর সুপ্তির নাসিমা মঞ্জিলের বাসায় আসেন জাকির। পূর্বের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিবাদ হয়। একপর্যায়ে গামছা পেঁছিয়ে সুপ্তি মল্লিককে হত্যা করে পালিয়ে যান জাকির। পুলিশ যাতে শনাক্ত করতে না পারে সে জন্যে যাওয়ার সময় সুপ্তির ব্যবহার করা দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান তিনি।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জাকিরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে সুপ্তির ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন জাকির।’