পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের জমিরমৃধা খাল খননের লাখ লাখ মাটি ইটঝ ভাটায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় খাল খননের উপযোগীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে জমিরমৃধা বাজার থেকে মহিষভাঙ্গা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার জমিরমৃধা খালে খননের কাজ চলছে। ওই খাল খননের লাখ লাখ মাটি স্থানীয় সরকারদলীয় একটি প্রভাবশালী মহল পার্শবর্তী ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে খাল খননের মাটি খালের দুই পাড়ে না দিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হারুন মৃধা, মশিউর রহমান ও খাল খনন কাজে তদারকির দ্বায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত ম্যানেজার মোঃ রিয়াজ হোসেন। ওই মাটি ১০টি ট্রাকে করে পাশবর্তী ন্যাশনাল ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট তৈরির জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলম বলেন, খালের দুই পাড়ে মাটি না ফেলে ইট ভাটায় বিক্রি করে দেওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হবে খালের দুই পাড়ে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হারুন মৃধা মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খালের মাটি কেটে আমার জমিতে ফেলে রাখায় সেগুলো সরিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছি তাই মাটিগুলো ইট ভাটায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
খাল খননের ঠিকাদার মশিউর রহমান মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাল খননের অতিরিক্ত জমে থাকা মাটি ইট ভাটার কাছে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। খাল খননের কাজ তদারকির দ্বায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রিয়াজ হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েই খাল খননের মাটি ইট ভাটায় সরিয়ে রাখছি। ইট ভাটার ইজারাদার জামাল হোসেন বলেন,আমি মাটি ক্রয় করেছি এখন তারা মাটি কোথা থেকে এনে সরবরাহ করছেন সেটা আমি জানিনা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী পনির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি দেখবো, তিনি সংবাদ না লেখার জন্য অনুরোধ করেন। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বলেন, খাল খননের মাটি ইট ভাটায় বিক্রির জন্য অনুমতি প্রদানের কোন সুযোগ নেই তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে॥