খান সোহেল,নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ কথায় আছে, বিপদ যখন আসে তখন একা আসেনা। চতুর্দিক থেকেই আসে। একে তো দেশের বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। তার মধ্যে আবার বৈশাখ পেরিয়ে জ্যৈষ্ঠ আসলেও পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত দিন মজুর। ঘড়ে তুলতে পারছেনা তাদের স্বপ্নের ফসল। চতুর্দিক থেকে যখন বৃষ্টির পানি আর পাহাড় ঢলে পানি উপচে পড়ছে তখনই সংকট দেখা দিচ্ছে দিন মজুরের। একে তো সয়াবিন, পেয়াজ, রসুনের দাম বাড়াতে এগুলো কিনে নিয়ে একটি মধ্যবৃত্ত পরিবার চালানো কষ্টসাধ্য তার উপর দীর্ঘ দিন বারীবর্ষনের কারণে উজানের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে কৃষকের শেষ সম্ভল বোরো মৌসুমের ধান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, এক সপ্তাহের ও বেশি সময় ধরে বারীবর্ষন থাকার কারণে পাহাড়ি ঢলে এসব ধানের জমি তলিয়ে যাচ্ছে, পর্যাপ্ত দিনমজুর না থাকার কারণে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে অনেক ধানের জমি তারপর আবার পানিতে তলিয়ে বিলীন হচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন।
কলমাকান্দার বেশ কয়েকটি বিলে পর্যাপ্ত বাঁধ না থাকায় প্রবল বৃষ্টির কারণে পানি বিলে প্রবেশ করে নষ্ট হচ্ছে ধান। কলমাকান্দা উপজেলা খারনৈই ইউনিয়ন বিষ্ণুপুর গ্রামের কাইয়ুম নামের একজন জানায়, তাদের এলাকায় প্রায় ১০০ একর জমির ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার পথে। এদিকে কলমাকান্দার বিভিন্ন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সময় মতো পর্যাপ্ত পরিমান দিন মজুর না পাওয়ায় মেশিন দিয়েই কাটতে হচ্ছে ধান। তাতে কিছুটা হলেও ধান ঘরে তুলা সম্ভব হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।