অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ভোটের সংস্কৃতি নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার ভোটাররা।
তিনি বলেন, বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীও যেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে অন্ধকারে ঢিল না ছুঁড়ে মির্জা ফখরুল সাহেবকে নিজ দলের প্রার্থীর কথা অনুধাবন করার আহ্বান জানাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও উৎসব আমেজে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে যারা মিথ্যাচার করে, তার জবাব দিয়েছেন জনগণ। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ভোটারদের এবং নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে। তবুও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সব প্রার্থীকেও ধন্যবাদ জানাই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাই প্রমাণ করে। বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক বিরোধিতা করলেও দেশের জনগণ অত্যন্ত সাবলিলভাবে ইভিএমে ভোট দিয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে জনগণ এরইমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠলেও বিএনপির মানসিকতা এখনও এনালগ রয়ে গেছে। তাই তারা এ পদ্ধতির বিরোধিতা করে। বিএনপি মুখে স্বচ্ছতার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে প্রযুক্তি বিমুখ এবং পিছিয়ে পড়া ধ্যান-ধারণা আঁকড়ে ধরে বসে থাকতে চায়।
বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেখানেও অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা শুধুমাত্র সমালোচনার জন্য সমালোচনা করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথমবারের মতো বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হয়েছে এবং ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিত ছিলেন। অথচ মির্জা ফখরুল সাহেব আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে যেসব কথা বলেছেন তার জবাব আমি না দিলেও বসুরহাট পৌরসভার ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছেন।