রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা দিয়ে ব্রিজের স্লাব তৈরি
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের কাউখালীতে ব্রিজ মেরামত কাজের স্লাব তৈরিতে রডের পরিবর্তে সুপারী গাছের চেরা ব্যবহার করা হয়েছে। কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের (কাঠালিয়া) নূরুল ইসলামের বাড়ীর সামনে ব্রিজ মেরামতের কাজে ওই স্লাব ব্যবহার করা হয়।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্রিজের তিনটি স্লাব ভেঙে গেছে প্রতিটি স্লাবে রডের পরিবর্তে ৫ টি করে সুপারী গাছের চেরা দিয়ে স্লাব ঢালাই করা হয়েছে। ব্রিজের প্রায় সবগুলো স্লাবই ফেটে গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধিনে এডিপির আওতায় কাউখালী ইউনিয়নে ৬ টি উন্নয়ন কাজের একটি ওই ব্রিজ মেরামত কাজ। মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ, মালিক লাভলু খান ওই ব্রিজ মেরামত কাজ বাস্তবায়ন করেন। কার্যাদেশ মোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জুন কাজ শেষ করা হয়।
সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার তার নিজের এলাকায় বসে স্লাব তৈরি করে নিয়ে এসে ব্রিজে এক দিনের মধ্যে স্থাপন করে চলে গেছেন। কাজ করে যাওয়ার পর থেকেই স্লাভগুলোতে ফাঁটল দেখা দেয়। তিন দিন পূর্বে তিনটি স্লাব ভেঙে পড়লে এ দৃশ্যমান হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে মেসার্স হালিমা এন্টারপ্রাইজ মালিক লাভলু খান বলেন, এক দেড় বছর আগের ঘটনা তা এখন কি বলব। তিনি নিজে কাজ করেননি। ওই কাজ কাউখালীর এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন স্লাব যখন ঢালাই দেয় তখন উপজেলা প্রকৌশলী বা তার প্রতিনিধিরা দেখেননি কেন। এখন সমস্যার কথা বললে হবে কিভাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা বলেন, খবর পেয়েই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখে অবাক হয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে উপজেলা চেযারম্যান আবু সাইদ মনু মিয়া বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও কে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। ফিরে তাৎক্ষনিক সভা করেছি। প্রকৌশলী আসতে পারেন নি। তাকে আগামী ৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি এলাকার সংসদ সদস্য মহোদয়কে, এলজিইডির চীফ ইঞ্জিনিয়ার, নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হবে। এতবড় দুর্নীতি করতে দেওয়া যায় না।