DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল ২০২৪
ঢাকাবৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

রোজা ভঙ্গের সাত কারণ

DoinikAstha
এপ্রিল ১৬, ২০২১ ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পবিত্র মাহে রমজান মুমিন বান্দাদের জন্য প্রশিক্ষণের মাস। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার দ্বারা তাকওয়া অর্জনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাকি ১১ মাস আল্লাহর বিধিবিধান পালনের মাধ্যমে জীবন পরিচালনার জন্য আল্লাহ পবিত্র রমজানের রোজা ফরজ করেছেন।

সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার থেকে বিরত থাকার নাম হলো সওম। যার বহুবচন সিয়াম, বাংলায় রোজা। যেসব কাজ রোজা ভঙ্গ করে তা সাধারণত সাত প্রকার। তা হলো-

পানাহার করা
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাতের কালো রেখা হতে উষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর রাতের আগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর।’ নাক দিয়ে ওষুধ সেবন করা পানাহার করার মতই সিয়াম বাতিল করে দেয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ওজুর সময় নাকে পানি দিতে একটু অতিরিক্ত করবে তবে সিয়াম অবস্থায় নয়।’ (আবু দাউদ) এ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হল সিয়াম অবস্থায় নাকের ভেতরে এমনভাবে পানি দিতে নিষেধ করা হয়েছে যাতে পানি ভেতরে চলে যায়। অতএব নাক দিয়ে কিছু ভেতরে প্রবেশ করালে রোজা নষ্ট হয়ে যায়।

যা কিছু পানাহারের বিকল্প, তা রোজা ভঙ্গ করে এটা দুভাবে হতে পারে
(ক) রোজা পালনকারী শরীরে রক্ত গ্রহণ করলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ পানাহার দ্বারা রক্ত তৈরি হয়। তাই রক্তগ্রহণ পানাহারের একটি বিকল্প। (খ) খাবারের বিকল্প হিসেবে স্যালাইন বা ইনজেকশন গ্রহণ করা। তবে যে সকল ইনজেকশন ও স্যালাইন খাবারের বিকল্প নয় তা গ্রহণ করতে বাধা নেই।

সহবাস
রোজা অবস্থায় সহবাস করলে রোজা বাতিল হয়ে যায়। রোজা ফরজ হোক কিংবা নফল। সহবাসের মাধ্যমে রোজা বাতিল করা হলে তার কাজা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করা জরুরি।

ইচ্ছাকরে বীর্যপাত করা
যেমন কাউকে চুমো দেয়ার মাধ্যমে বা স্পর্শ করার কারণে কিংবা হস্ত মৈথুন ইত্যাদি কারণে বীর্যপাত ঘটানো হলে। এ সকল কারণে রোজা বাতিল হয়ে যায়। তবে এ সকল কারণে কামভাব থাকা সত্ত্বেও যদি বীর্যপাত না হয় তবে রোজা বাতিল হবে না। নবী করিম রাসূলুল্লাহ (সা.) রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুমো দিতেন ও স্পর্শ করতেন। তবে তিনি নিজেকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ ছিলেন। যদি চুমো ও স্পর্শ দ্বারা বীর্যপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তবে এ সকল কাজ থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরি।

ইসলামি শরীয়তের একটা মূলনীতি হলো- যা কিছু অন্যায় বা হারাম কাজের দিকে নিয়ে যায় বা তার সম্ভাবনা সৃষ্টি করে তা থেকে দূরে থাকা ওয়াজিব। এ কারণে রোজা পালনকারীর জন্য কুলি করা নাকে পানি দেয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সে কুলি করার সময় গড়গড়া করবে না। স্বপ্নদোষের কারণে বীর্যপাত হলে সিয়াম ভঙ্গ হবে না। কারণ এটা অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়ে গেছে। যা কিছু অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে যায় আল্লাহ তা ক্ষমা করে দেন। এমনিভাবে নিদ্রা মগ্ন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়। কাজেই নিদ্রাকালে যা কিছু ঘটে তার জন্য কাউকে দায়ী করা যায় না। এটা আমাদের প্রতি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একটি রহমত। কেউ কোনো বিষয় কল্পনা করার ফলে যদি বীর্যপাত হয়ে যায় এতে সিয়াম ভঙ্গ হবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মত যা কল্পনা করে তা ক্ষমা করে দেন। যদি না সে কাজ বা কথার দ্বারা তা বাস্তবায়ন করে।’ (বোখারি ও মুসলিম)

হাজামা বা শিঙ্গা লাগানো
যে শিঙ্গা লাগায় ও যাকে শিঙ্গা লাগানো হয় উভয়ের সিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। যেমন হাদিসে এসেছে, ‘শিঙ্গা যে লাগাল ও যাকে লাগানো হলো উভয়ে সিয়াম ভঙ্গ করল।’ (আহমদ) শিঙ্গা লাগালে শরীরে এর প্রভাব পড়ে। এটা রক্ত দানের মতই। তাই সিয়াম পালনকারীর জন্য শিঙ্গা ব্যবহার জায়েজ নয়। তবে প্রয়োজন হলে সিয়াম ভঙ্গ করে শিঙ্গা ব্যবহার করবে পরে সিয়াম কাজা করবে। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কিংবা দাঁত ওঠালে অথবা আহত হয়ে রক্ত প্রবাহিত হলে সিয়ামের কোনো ক্ষতি হয় না।

ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা
যদি কেউ ইচ্ছা করে বমি করে তবে তার সিয়াম পালন বাতিল হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার বমি হলো তার কোনো ক্ষতি নেই। আর যে নিজের ইচ্ছায় বমি করল সে রোজা কাজা করবে।’ (মুসলিম) তবে বমি আসলে তা আটকে রাখার চেষ্টা করবে না।

নারীদের মাসিক ও প্রসূতিবস্থা আরম্ভ হলে
যদি সিয়াম অবস্থায় মাসিকের রক্ত দেখা দেয় তবে সিয়াম ভেঙে যাবে। এমনিভাবে প্রসবজনিত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকলে সিয়াম নষ্ট হয়ে যায়

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:০৮
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:২৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩
  • ১২:০০
  • ৪:৩১
  • ৬:২৮
  • ৭:৪৭
  • ৫:২৮