আমির হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে শিরু থেকে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে। শহরের বেশিরভাগ দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। তবে বাজারে মানুষের ভিড় লেগে আছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঘর থেকে বের হচ্ছে জনসাধারণ। শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বাসস্ট্যান্ড থেকে অভ্যন্তরিণ ৬ রুটসহ দূরপাল্লার কোন রুটেই বাস চলছে না।
লকডাউনের দিনগুলোতে ঝালকাঠিতে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও সিএনজি, আটোরিক্সা সহ অন্যান্য পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। প্রয়োজনে কিম্বা অপ্রয়োজনে রাস্তা ঘাটে মানুষের অবাদ চলাচল আগের মতই।লকডাউনের মধ্যেও মাস্ক ছাড়া জনসাধারণ ঘোরাফেরা করছেন।
শুধু ঝালকাঠি শহরই নয়, একই অবস্থা নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলাতে। ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে উপজেলাগুলোতেও।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকার ১১ টি বিধি নিষেধ দিয়ে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষনা করলেও ঝালকাঠিতে তা সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে না।
কাজের সন্ধানে বের হয়ে আসছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক, নেই সামাজিক দূরত্ব, খোলা রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান পাট। জেলার বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকাল থেকেই কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।
এদিকে মাস্ক না পড়ে উস্কানীমূলক কথা বলায় রাজাপুরে মো. শওকত হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন এ জরিমানা করেন।
নলছিটি,কাঠালিয়া ও ঝালকাঠি সদরররও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনকা মূলক কর্যক্রম, মাক্স বিতরন অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজেনে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।