আবারো সুন্দরবনে ফাঁদ সহ দুই চোরা শিকারী আটক।
ম.ম.রবি ডাকুয়া, মোংলা প্রতিনিধিঃ
সুন্দরবনে বাগেরহাটের মোংলা এলাকায় আবারো দুই চোরা শিকারীকে আটক করা হয়েছে।এ সময় তাদের কাছ থেকে হরিণের চারটি পা সহ বস্তা ভারা ফাঁদ,দুইটি ছুরি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন ও বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামরা দায়ের করা হয়েছে এবং আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ এনামুল হকের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোংলা উপজেলার বৈদ্যমারী ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন ইসতাকের ছিলা এলাকায় অভিযান চালায় বনরক্ষীর একটি দল।এ সময় বন রক্ষিদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা শিকারীরা জবাইকৃত হরিণের মাংস নদীতে ফেলে পালানোর চেষ্টা করে ।এ সময় বনরক্ষীরা তাদের ধাওয়া করে দুই চোরা শিকারীকে ধরতে সক্ষম হয়।
আটক হওয়া দুই হরিণ শিকারীর কাছে থেকে জবাইকরা হরিণের চারটি পা ও বস্তা ভারা আধা বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদ ,দুটি ছুরি ,রক্ত মাখা পলিথিন ও একটি নৌকা জব্দ করে।
আটককৃত রা হলেন,সুন্দরবন ইউনিয়নের জাহঙ্গীর মোল্লা (৪০) পিতা ইসমাইল মোল্লা,ও ফজলু শিকারী (৫০) পিতা আবজাল শিকারী।
আটক কৃতদের রাতে সুন্দরবনের চাঁদপাই ষ্টেশনে রাখা হয়েছে।এবঙ তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা রজু করা হয়েছে।আজ তাদের বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে মর্মে আগেই জানানো হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে।
এর আগে থেকে এ অবধি সুন্দরবনে লাগাতার এ ধরনের বন্যপ্রাণী নিধন স্থানীয় পরিবেশবিদ সহ সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলছে।গত ২০ জানুয়ারী বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে একটি বাঘের চামড়া উদ্ধার এক পাবারকারী আটকহয়,তার পর গত ২২ জানুয়ারী থেকে এ অবধি ৫০ টির অধিক হরিণ জবাইকরা মাংস আটক হয়।সচেতন মহলের প্রশ্ন তাহলে আটক ছাড়া কত হরিণ নিধন হচ্ছে।বন বিভাগকে আরো সচেতন হওয়ার তাগিদ অনুভব করছে স্থানীয় সর্বস্তরের সচেতন মহল।