বোন জামাই কর্তৃক অপহরণ ও ধর্ষণ, সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক
আব্দুর রহমান ঈশান/নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে ২০ বছর আত্মগোপনে থাকা শ্যালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন এবং তৎসহ ১৪ বছরের সশ্রম দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আঃ হামিদকে (৪০)’কে আটক করেছে র্যাব-১৪।
আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ (সিপিএসসি) এর স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি সবুজ রানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এরআগে মঙ্গলবার দিনগত রাত সোয়া ১০টার দিকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, আঃ হামিদ নেত্রকোনা পূর্বধলা থানাধীন বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিয়ের কয়েক বছর পর ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে ৪ আগস্ট নিজের শ্যালিকাকে (১৩) স্কুল থেকে বাড়িতে আনার পথে কৌশলে গাড়িতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে এবং শ্যালিকাকে আহত অবস্থায় ফেলে বাড়িতে চলে আসে বোন জামাই। এদিকে ভুক্তভোগী স্থানীয়দের সহায়তায় বাড়িতে আসার পর পরিবারের সদস্যদেরকে বিষয়টি অবগত করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব আরও জানায়, ঘটনার পর হতে ২০ বছর যাবত আঃ হামিদ নিজের আসল নাম ও ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রে ছদ্মনামে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় থানা এলাকায় পালিয়ে ছিল। অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এক ধরায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং আরেক ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে সোপার্দের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।