জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, ২২বছর পর পলাতক স্ত্রী আটক
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যা করে দীর্ঘ ২২ বছর পলাতক থাকার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ডলি বেগম কে যৌথ অভিযানে আটক করেছে র্যাব-৪, সিপিএসসি এবং র্যাব-০৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প। শনিবার রাত সোয়া ১ দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুটুহারা গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর স্ত্রী ডলি বেগম (৪২)।
জয়পুরহাট র্যাব-৫ এর (ভারপ্রাপ্ত) কোম্পানি অধিনায়ক সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার মঠপাড়া গ্রামের ফয়েজের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ডলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবুল হোসেন তার শ্বশুরবাড়ীতে ঘর জামাই থাকতেন। সে সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। অন্যদিকে ডলি মামলার ৩ আসামির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই অবৈধ সম্পর্ক জেনে গেলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী ডলি। সেই মোতাবেক ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আসামিরা শ্বাসরোধ করে আবুলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরের দিন তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন। গত ২৬ জুন দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম ০৪ জন আসামীর যাবজ্জীবনের রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী ডলি বেগম, মৃত নিগমা উড়াওয়ের ছেলে সুরেন উড়াও, ধলু মন্ডলের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফিরাজ উদ্দীনের ছেলে কাফা। এর মধ্যে ডলি বেগম পলাতক ছিলেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী ডলি বেগম (৪২) গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে। র্যাব ৪ (সিপিএসসি) এবং র্যাব ৫ (সিপিসি-৩) এর যৌথ অভিযানে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডলি কে আদাবর থানা, ঢাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পাঁচবিবি থানায় জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।