সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।
সোমবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং আরেক আসামি অর্জুন লস্করকে সিলেট মহানগর হাকিম-২ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে একাধিক আইনজীবী থাকলেও আসামি পক্ষে কেউ ছিলেন না। সব আইনজীবীই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
এমসি কলেজে গণধর্ষণ: আদালতে সেই রাতের রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন নববধূ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বক্তব্য প্রদান করে এবং আসামিরা নিজেরাই আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতের সিনিয়র আইনজীবীরা জানান, সিলেট একটি আধ্যাত্মিক নগরী। এ নগরীতে কুলষিত করেছে ধর্ষকরা। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারণে সিলেটের কোনো আইনজীবী ধর্ষকদের পাশে দাঁড়াননি।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এটিএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, আইনজীবীদের এ সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। ঘৃণা প্রকাশের জন্যেই স্বপ্রণোদিত হয়েই কোনো আইনজীবী আসামি পক্ষে মামলা চালাতে যাননি।
শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। সন্ধ্যায় তাদের কলেজ থেকে ছাত্রাবাসে ধরে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। এরপর দুইজনকে মারধর করে স্বামীকে বেঁধে রেখে তার সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে রাতে ছাত্রাবাস থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।