দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে রিজার্ভ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রপ্তানি আয় কমার পরও আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেকর্ড পরিমাণে রেমিট্যান্সের কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এদিকে আমদানি ব্যয়ও কমেছে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে থাকা ডলারের বাড়তি প্রবাহ কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রকাশিত কেন্দ্রীূয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, আসন্ন কুরবানির ঈদে প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের আত্মীয়স্বজনের বাড়তি ব্যয় মেটাতে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন বেশি পরিমাণে। গত মে মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। ওই মাসে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ ২২৫ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা এক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ।
এদিকে ওই মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। আমদানি ব্যয়ও কমেছে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ। রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয় কমায় ডলারের খরচে একটি ভারসাম্য এসেছে। রেমিট্যান্সের অর্থ উবৃত্ত থেকেছে। যে কারণে ব্যাংকগুলোতে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এ কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কিনেছে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে নগদ টাকার জোগান দিয়েছে। ঈদের সময় গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোর বাড়তি টাকার প্রয়োজন। ডলার বিক্রি করে ব্যাংক টাকা নিয়ে সে চাহিদা মিটিয়েছে। ডলার কেনার কারণে রিজার্ভ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, মে মাসের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪২১ কোটি ডলার। গত বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫২ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে ৩০ কোটি ডলার। মে মাসের শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলার। গত বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২১ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে ৪৯ কোটি ডলার। গ্রস রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত আসার কারণে সেগুলো নিট রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। এ কারণে নিট রিজার্ভ বাড়ছে।
এদিকে চলতি মাসের শেষ দিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ বাবদ ১১৫ কোটি ডলার পাওয়া যেতে পারে। এ অর্থ পেলে রিজার্ভ আরও বেড়ে যাবে।