ভালো কাজ করতে গেলে বাঁধা আসবে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই দেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’।
সোমবার বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
চীনের ও অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ট্রায়াল হবে দেশে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বিশ্ব পরিমন্ডলে শুধু নিজেকেই আলোকিত করেননি পুরো জাতিকে আলোকিত করেছেন’।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়ে পুরো জাতি যখন দিশেহারা, স্বাধীনতা যখন বিপন্ন প্রায়, তখন বঙ্গবন্ধুর খুনি ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে দেশে ফিরেই বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে নিজেকে এই দেশের জন্য অর্পণ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ২০০০ সালের মধ্যেই দেশ উন্নত দেশে পরিণত হত’।
‘সারাবিশ্বে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যখন মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে, তখন শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে, প্রেরণা আর সাহস দিয়ে আগলে রেখেছেন। সকল ক্ষেত্রে ঘোষণা করেছেন বিশেষ প্রণোদনা। সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করে দুঃখী মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন খাদ্য’।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানো, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়া নিয়ে যেমন ব্যঙ্গ করেছে স্বাধীনতাবিরোধীরা, তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশকে ডিজিটাল, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং উন্নত-সমৃদ্ধ করা নিয়েও ব্যঙ্গ করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আল্লাহ তাওলার কাছে প্রার্থনা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জন্য তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।